:::: MENU ::::

Tuesday, 3 March 2020



         🔺চৈতন্যজীবনী সাহিত্য 🔺 



🔻সংস্কৃত ভাষায় রচিত :----- 


⭕️ চৈতন্য দেবের দাদা বিশ্বরূপ একটা তাল পাতার পুথি লিখেছিলেন, যেখানে চৈতন্যের জন্ম রহস্য ও ভবিষ্যৎ ইঙ্গিত ছিল ।যদিও বইটি কালের গর্ভে আজ লুক্কায়িত ।বইটির নাম #সম্ভাবামি#। তথ্য সূত্র ⏩গোরা➖শৈবাল মিত্র 

⭕️ মুরারি গুপ্তের কড়চা :------ সংস্কৃত ভাষায় রচিত চৈতন্যজীবনী কাব্যের মধ্যে 'মুরারি গুপ্তের কড়চা' বা 'শ্রীশ্রীকৃষ্ণচৈতন্যচরিতামৃতম্' আদিতম গ্রন্থ। মুরারি গুপ্ত তাঁর কড়চায় চৈতন্য জীবনের বাল্য থেকে তিরোধান পর্যন্ত ঘটনা বর্ণনা করেছেন। 

⭕️চৈতন্যের জীবন-কাহিনি নিয়ে চৈতন্যদেবের জীবৎকালে একখানি সংস্কৃত নাটক লেখা হয়েছিল। নাটকটির রচয়িতা "বঙ্গদেশীয় বিপ্র"। 

⭕️পরমানন্দ সেন(কবি কর্পূর) :----- পরমানন্দ "কবিকর্ণপূর" নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি পারম্যবাদের প্রবক্তা। চৈতন্যদেবের জীবন কাহিনি নিয়ে "চৈতন্যচন্দ্রোদয়"নামক একটি সংস্কৃত রূপক নাটক রচনা করেন। নাটকটি দশ অঙ্কে সমাপ্ত। এছাড়া তিনি সংস্কৃতে একটি মহাকাব্য রচনা করেন ।চৈতন্যজীবনী মহাকাব্যের নাম "চৈতন্যচরিতামৃত "। শেষ বয়সে এসে কবি কর্ণপুর "গৌরগর্ণোদ্দেশদীপিকা" গ্রন্থ রচনা করেন। 

⭕️প্রবোধানন্দ সরস্বতী :---- প্রবোধানন্দ সরস্বতী চৈতন্য জীবন অবলম্বনে চৈতন্যচন্দ্রামৃত নামে একটি স্তব গ্রন্থ রচনা করেন। 


🔻বাংলা ভাষায় রচিত :----- 


⭕️বৃন্দাবন দাসের চৈতন্যভাগবত:---- চৈতন্যজীবনী কাব্যগুলির মধ্যে বৃন্দাবন দাসের 'শ্রীচৈতন্যভাগবত' গ্রন্থটি বাংলায় রচিত প্রথম চৈতন্যজীবনী কাব্য। @রচনাকাল :চৈতন্যভাগবতের রচনাসমাপ্তিকাল ১৫৩৫-৩৬ অব্দ। @ এই কাব্যটি তিনটি খন্ডে বিভক্ত। আদি খন্ডে ১৫ টি অধ্যায়, মধ্য খন্ডে ২৭ টি অধ্যায় এবং অন্ত্য খন্ডে ১০ টি অধ্যায়ে বিভক্ত। 

⭕️কৃষ্ণদাস কবিরাজ চৈতন্যচরিতামৃত :---- চৈতন্যজীবনী কাব্যের মধ্যে সর্বোপরি প্রমাণিক গ্রন্থ "চৈতন্যচরিতামৃত"।এর রচয়িতা কৃষ্ণদাস 'কবিরাজ'। @রচনাকাল : চৈতন্যচরিতামৃত ১৬১০ অব্দের বেশ কিছু কাল আগে লেখা হয়েছে। @কৃষ্ণদাসের কাব্য তিনটি খন্ডে বিভক্ত। তবে এখানে খন্ডের নাম 'লীলা'।প্রত্যেক লীলা কয়েকটি পরিচ্ছেদে বিভক্ত। আদি লীলা সতেরো পরিচ্ছেদ, মধ্য লীলায় পঁচিশ পরিচ্ছেদ , অন্ত্য লীলায় বিশ পরিচ্ছেদে বিভক্ত। @গ্রন্থটি ১১৫২৬ টি শ্লোকে সমন্বিত। যার মধ্যে চার হাজার শ্লোকেই সংস্কৃত শ্লোকের উদ্ধৃতি। 

⭕️লোচন দাস চৈতন্যমঙ্গল :---- চৈতন্যজীবনী কাব্যের মধ্যে লোচনদাসের 'চৈতন্যমঙ্গল' বাংলা সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ। লোচনদাসের 'চৈতন্যমঙ্গল' লিখেছিলেন মুরারী গুপ্তের অনুসরণে। @রচনাকাল : বিশেষজ্ঞদের আলোচনা অনুসারে বলা যেতে পারে কাব্যটি ১৫৫০-১৫৬৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত। @এই কাব্যটিতে চারটি খন্ডে বিভক্ত—সূত্র খন্ড, আদি খন্ড, মধ্য খন্ড, শেষ খন্ড।ছত্র সংখ্যা প্রায় ১১০০০। 

⭕️চূড়ামণি দাসের গৌরাঙ্গবিজয় :----- চূড়ামণি দাসের "গৌরাঙ্গবিজয়" অংশত পাওয়া গিয়েছিল। বইটি একটি মাত্র পুথি জানা আছে। এর গোড়ার কয়েকটি পাতা নষ্ট হয়ে গেছে এবং শেষের দুই-তৃতীয়াংশ নেই। সুকুমার সেন ১৮৫৭ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে চূড়ামণি দাসের 'গৌরাঙ্গবিজয় ' প্রকাশ করেন। পাঁচিলীর রীতিতে রচিত। @রচনাকাল :১৫৪২-১৫৫০ অব্দের মধ্যে গৌরাঙ্গবিজয় রচিত হয়। @কাব্যটি তিনটি খন্ডে বিভক্ত এবং মহাপ্রভুর গয়া থেকে প্রত্যাবর্তনের আদিখন্ডে সমাপ্ত।

 ⭕️জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল:- বৃন্দাবন দাসের কাব্য রচনার কিছুকাল পরে জয়ানন্দ মিশ্র তাঁর চৈতন্যমঙ্গল কাব্য রচনা করেন। নগেন্দ্রনাথ বসু ও কালিদাস নাথের সম্পাদনায় এই গ্রন্থ ১৬১২ বঙ্গাব্দে সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। @রচনাকাল :১৫৫০-১৫৬০ অব্দের মধ্যে জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল রচিত হয়েছিল। @জয়ানন্দের কাব্যের ছত্রসংখ্যা মোটামুটি সাড়ে তেরো হাজার। এই কাব্যটি নয় টি খন্ডে বিভক্ত। খন্ডগুলির পরিমাণ অসমান। 

⭕️গোবিন্দদাসের কড়চা:---- চৈতন্যদেবের সন্ন্যাস গ্রহণের পর থেকে দক্ষিণ ভ্রমণ পর্যন্ত সময়ের বিবরণ আছে। ১৮৯৫ অব্দে জয়গোপাল গোস্বামী কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে। তথ্যসূত্র -----সুকুমার সেন(বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস -প্রথম খন্ড)

0 comments:

Post a Comment